বার্তা সংস্থা ইকনার রিপোর্ট: প্রচলিত নিয়ম মোতাবেক বিগত বছরগুলোর মত এ বছরেও ১৮ই মে আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের সাথে সর্বোচ্চ নেতা দেখা করেছেন।
এসময় তিনি বলেন: এই প্রতিযোগিতার ভালো দিকগুলোর মধ্যে একটি দিক হচ্ছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিম ভায়দের মধ্যে সম্পর্ক অটুট হওয়া। অনেক এন্টি-সাম্রাজ্যবাদী নীতি বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে আমাদেরকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে এবং আমাদেরকে এক অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। মুসলিম জাতির উচিত শত্রুদের সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিরোধ করা এবং তারা যা চাই তার বিপরীত কাজ করা। শত্রুদের মোকাবিলা করার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে একত্রিত হতে হবে।
সর্বোচ্চ নেতা গুরুত্বারোপ করে বলেন: মুসলিম উম্মতের ঐক্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ পন্থা হচ্ছে এধরণের বৈঠক করা। পবিত্র কুরআনকে কেন্দ্র করে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। সকল মুসলমানদের জন্য পবিত্র কুরআন একটি বড় নেয়ামত।
এছাড়াও তিনি বলেন:মধ্যপ্রাচ্যের কিছু মুসলিম সরকার এ অঞ্চলে মার্কিন নীতি বাস্তবায়নে সহায়তা করতে গিয়ে নিজেদের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, "কোনো কোনো মুসলিম দেশের সরকার তাদের জনগণ ও মুসলিম উম্মাহর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে মার্কিন প্রভাব সৃষ্টির পথ করে দেয়। এসব চিহ্নিত সরকার কুরআনের নির্দেশ বাস্তবায়নের পরিবর্তে বাতিল শক্তিগুলোকে অনুসরণ করছে।” তিনি বলেন, আমেরিকা হচ্ছে সবচেয়ে জঘন্য বাতিল শক্তি এবং বড় শয়তান। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের যেসব সরকার আমেরিকার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে তারা কুরআনকে বাদ দিয়ে বাতিলের অনুসরণ করছে।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, তাকফিরি সন্ত্রাসীসহ ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসী অন্য জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো ফিলিস্তিন ইস্যুকে বেমালুম ভুলে গেছে। তারা তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামের শত্রুদের দিক-নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছে।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, "শয়তানি শক্তিগুলো ইসলাম ও দেড়শ’ কোটি মুসলমানকে ভয় পায়। ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে চূড়ান্ত বিজয় হবে ইসলামের।”#
iqna