পুলিশ বাধা দিলে প্রতিবাদকারীরা তার বাড়ীতে হামলা করে। বিক্ষোভকারীদের হামলা ঠেকাতে গার্ড বাহিনী আকাশের দিকে গুলি বর্ষণ করে। তখন সেখানে প্রায় ৩০০ জন বিক্ষোভকারী উপস্থিত ছিল। এ ঘটনার সূত্র ধরে বিক্ষোভকারীদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
বিক্ষোভকারীদের হামলার ফলে পুলিশ সুপার ও তার ডেপুটি সহ মোট ৮ জন আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে কয়েকজন বিক্ষোভকারী পাচিল টপকে পাঞ্জাব আইন পরিষদের কমপ্লেক্সে প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং পুলিশের একটি বাসে আগুণ ধরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে অন্য পুলিশ উপস্থিত হলে বিক্ষোভকারীরা পালিয়ে যায়।
পাঞ্জাবের পুলিশ ঘোষণা করেছে: বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে; কিন্তু শহর এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ২৫০ জনের নাম নিবন্ধন করা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
পুলিশ মুখপাত্র গুরুত্বারোপ করে বলে: এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনটি রিপোর্ট সেট করা হয়েছে। প্রথম রিপোর্টটি হচ্ছে, যে সকল ব্যক্তি পবিত্র কুরআনের অবমাননা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে, দ্বিতীয় রিপোর্টটি হচ্ছে, যারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে এবং তৃতীয় রিপোর্টটি হচ্ছে, যারা পাঞ্জাব আইন পরিষদের কমপ্লেক্সে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে।
এদিকে পাঞ্জাব রাজ্যের আইন পরিষদের সদস্য "ফারজানা খাতুন" এবং তার স্বামী (পাঞ্জাবের সাবেক পুলিশ প্রধান) "আজহার আলম" এ ঘটনার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল এবং কংগ্রেসকে দায়ী করেছে এবং দ্রুত এই হামলার মূল কারণ ও হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।