IQNA

আল্লাহর থেকে দূরে সরে যাওয়ার চেয়ে আর কোন কঠোর শাস্তি নেই

1:18 - February 18, 2018
সংবাদ: 2605081
আল্লাহ যে মানুষকে সব থেকে বেশী ভালবাসেন তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। মানুষ আল্লাহর কাছ থেকেই সব থেকে বেশী ভালবাসা ও মহব্বত পেয়ে থাকে। সুতরাং নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগী করতে হবে।

 

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: হুজ্জাতুল ইসলাম আকবার নেজাদ বলেন, মানুষের ইবাদত কয়েক প্রকার হয়ে থাকে, কেউ জাহান্নামের ভয়ে ইবাদত করে, কেউ বেহেশতের আশায় ইবাদত করে আবার যারা প্রকৃত ঈমানদার তারা আল্লাহর মর্যাদাকে উপলব্ধি করে তার সান্নিধ্যলাভের জন্য ইবাদত করে।

আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী(আ.) বলেছেন: হে আল্লাহ! আমার জন্য এটাই যথেষ্ট যে আপনি আমার রব এবং আমি আপনার বান্দা। আল্লাহ যেহেতু আমাদের রব তথা প্রতিপালক সে জন্যই আমাদেরকে আল্লাহর উপাসনা করতে হবে। আর এর মধ্যেই আমাদের গর্ব লুকাইত রয়েছে।

মাওলা আলী(আ.) আরও বলেছেন: আমি আল্লাহকে ভালবেসেই তার ইবাদত করি, তিনি যদি বেহেশত ও জাহান্নামও না বানাতেন তাহলেও আমি তার ইবাদত করতাম কেননা তিনিই একমাত্র সত্ত্বা যিনি ইবাদতের যোগ্য।

সূরা বাকারার ২০৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ পাক বলেছেন- وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْرِي نَفْسَهُ ابْتِغَاءَ مَرْضَاةِ اللَّهِ وَاللَّهُ رَءُوفٌ بِالْعِبَادِ

কিন্তু মানুষের মধ্যে অনেকে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য নিজেদের জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করে। আল্লাহ তার এরূপ বান্দাদের প্রতি দয়াশীল।

এমন অনেক মানুষ আছেন যারা শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে দেয়। বিভিন্ন তাফসীরে বলা হয়েছে- যখন মক্কার মুশরিকরা রাতের বেলায় রাসূল (সা.) এর ঘরে হামলা করে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন আল্লাহর রাসূল ওহীর মাধ্যমে তাদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে অবহিত হন এবং মক্কা থেকে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেন। রাসূল (সা.) তাঁর ঘরে নেই এটা যাতে শত্রুরা বুঝতে না পারে সে জন্যে হযরত আলী আল্লাহর রাসূলকে রক্ষার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করার পদক্ষেপ নেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সূরা বাকারার ২০৭ নম্বর আয়াত নাজিল হয়। ইতিহাসে এই রাত লাইলাতুল মাবিত নামে বিখ্যাত।

মুমিন হল কাজে বিশ্বাসী। মুমিন আল্লাহর সাথে লেনদেন করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সচেষ্ট থাকে, কিন্তু মুনাফিকরা পার্থিব বিষয়ের সাথে লেনদেন করে এবং তারা মানুষের সন্তুষ্টির প্রত্যাশায় রয়েছে।  শাবিস্তান

captcha