বার্তা সংস্থা ইকনা:রোজা আমাদের জন্য একটি বিরাট নিয়ামত সরূপ। রাসুল(সা.) বলেন, যে লোক রমজান মাসের রোজা রাখবে ঈমান ও চেতনা সহকারে তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
অতএব রোজার মাসকে পরিপূর্ণ ভাবে কাজে লাগাতে হবে এর জন্য প্রয়োজন কিছু পূর্ব প্রস্তুতি। আর এর জন্য সর্ব প্রথম যেটা প্রয়োজন রোজা সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান। জ্ঞান অর্জনের পরেই আসে আমল। পরিকল্পনা মাফিক কাজ করলে কাজে বরকত হয়, তাই রমজান আসার পূর্বেই রমজানের প্লান করা ভাল, যার যার প্লান তার তার কাছে।
সুরা বাকারার ১৮৭ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ রোজা প্রসঙ্গে আরও বলেছেন:
'রোজার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ জানেন যে, তোমরা আত্মপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরণ কর। আর (রাজার মাতে) পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোজা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মেলা-মেশা করবেনা। এই হলো আল্লাহর বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেয়ো না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ নিজের নিদর্শনগুলো মানুষের জন্য, যাতে তারা বাঁচতে পারে।'
রমজান মূলত: খোদা প্রেমের মাস, যারা আল্লাহকে ভালবাসবে তারা মানুষকেও ভাল বাসবে। তাই রমজানের আরেকটি দর্শন হল: গরীব-মিসকিনের ক্ষূদার্থ অবস্থা অনুধাবন করা। যারা রোযা থাকে, তারা ক্ষূদার্থ ব্যক্তির ক্ষূদার্থ অবস্থা খুব ভালভাবে অনুধাবন করে।
পুরো রমজান মাসের অসংখ্য ফজিলত থাক স্বত্বেও রমজানের শেষ দশকের বিশেষ ফজিলত রয়েছে এবং আছে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য। এগুলো হল :
এ দশ দিনের মাঝে রয়েছে লাইলাতুল কদর নামের একটি রাত। যা হাজার মাস থেকেও শ্রেষ্ঠ। যে এ রাতে ঈমান ও ইহতিসাবের সাথে ইবাদত-বন্দেগি করবে তার অতীতের পাপগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে।