IQNA

পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে ইমাম মাহদীর সৈনিকদের বৈশিষ্ট্য

18:25 - May 23, 2018
সংবাদ: 2605820
সূরা মায়েদার ৫৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-হে মুমিনরা, তোমাদের মধ্যে যে নিজ ধর্ম থেকে ফিরে যাবে (সে আল্লাহর কোনো ক্ষতিই করতে পারবে না) অচিরে আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জেহাদ করবে এবং কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীত হবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ-তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী।



বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম মাহদীর সৈনিকরা আল্লাহর প্রতি ঈমানে ও ভালবাসায় এবং তাঁর ধর্ম রক্ষায় এত নিবেদিত-প্রাণ যে তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করতে ও জীবন দিতে সদা-প্রস্তুত। তারা কোনো ধরনের চোখরাঙানি ও তিরস্কারকে ভয় পায় না। আল্লাহ তাদের বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরতে গিয়ে বলছেন, তারা শত্রুদের মোকাবেলায় খুবই কঠোর এবং নিজেদের প্রতি দয়ার্দ্র ও পরস্পরের প্রতি বিনম্র।

ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন: ইমাম মাহদীর সৈনিকরা তার এত বেশী অনুগত থাকবে যে, দাসীরাও তার মনিবের প্রতি এত বেশী অনুগত নয়।

আরও বর্ণিত হয়েছে: ইমাম মাহদীর সৈনিকরা সেভাবে তাকে আগলে রাখতে যেভাবে মোমবাতির চারপাশে বা ফুলের চারপাশে মৌমাছি ঘিরে থাকে।

৩১৩জন একনিষ্ঠ সৈনিক প্রস্তুত হলেই আল্লাহর নির্দেশে ইমাম মাহদীর আবির্ভাব ঘটবে।

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) হতে বর্ণিত কোনো কোনো বর্ণনা অনুযায়ী, বনি ইসরাইলের ১২ জন নেতার মত শেষ নবী (সা.)'র উত্তরসূরি বা স্থলাভিষিক্ত হবেন ১২ জন এবং কিয়ামত পর্যন্ত এ ১২ জনই হবেন মুসলমানদের ইমাম বা নেতা। তাঁদের মধ্যে প্রথম হলেন আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী (আ.) এবং শেষ নেতা হবেন হযরত ইমাম মাহদী (আ.)।

 

captcha