বার্তা সংস্থা ইকনা: গেল ২৯ জুলাই কায়রোর উত্তর-পশ্চিমের ওয়াদি নাতরুনের সেন্ট মাকারিয়াস মঠে ৬৪ বছর বয়সী বিশপ এপিফানিয়াসের রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
অভিযুক্ত ওয়ায়েল সাদ ওই মঠেরই একজন ভিক্ষু ছিলেন। তিনি কৌঁসুলিদের জানিয়েছেন, তিনি এটি লোহার দণ্ড দিয়ে ওই বিশপকে হত্যা করেছেন। তবে এই হামলার পেছনে তার উদ্দেশ্য কি তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিশপ এপিফানিয়াসের হত্যার পর দেশটির কপটিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ভিক্ষু হিসেবে ওয়ায়েল সাদের নাম ছিল আশয়াইয়া আল-মাকারি। কিন্তু ওই বিশপকে হত্যার পর তার ধর্মীয় পদবী কেড়ে নেয়া হয়।
চার্চটি প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল যে, অনেকদিন ধরে দায়িত্ব লঙ্ঘনের কারণে তার বিরুদ্ধে এ ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
অ্যালেকজান্দ্রিয়ায় কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, ওয়ায়েলের বিরুদ্ধে শুক্রবার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়। একইসঙ্গে আরও তদন্তের জন্য তাকে পুলিশের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
এদিকে ওই বিশপের হত্যার ঘটনার পর কপটিক চার্চগুলো যাজকদের আচরণের ওপর নজরদারি বাড়ায় এবং এক বছর পর্যন্ত নতুন ভিক্ষু নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে।
এছাড়া ভিক্ষুদের নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমনকি কপটিক অর্থোডক্স পোপ টাওয়াদ্রস দ্বিতীয় তার অফিসিয়াল ফেসবুক পাতা বন্ধ করে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মিশরের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১০ ভাগ কপটিক খ্রিস্টান।