বার্তা সংস্থা ইকনা: আজ বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পুরো এলাকাটি যেন এক মৃত্যুপুরীর আকার ধারণ করেছে। আগুনে পুড়ে যাওয়ার চিহ্ন বহন করছে এলাকার দালানকোটাসহ দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। মালামালসহ সব জিনিসপত্রই পুড়ে ছাই।
রাজমনি হোটেলর সামনে গিয়ে দেখা যায়, দোকানের সামনের সাটার পুড়ে গেছে। দোকানের হাড়িপাতিলসহ আসবাবপত্রও পুড়ে গেছে। কালি ও কেমিক্যালের ধোঁয়ার চিহ্ন হোটেলের দেওয়ালে দেওয়ালে।
রাজমনি হোটেলের সামনে গিয়ে দেখা যায়, হোটেলটির দুইপাশেই রাস্তার ওপরে কেমিক্যালের পুড়ে যাওয়া ড্রামগুলো পড়ে আছে।
এলাকাবাসীর তথ্য মতে, এখানে কয়েকটি ভবনের নিচতলাকে কেমিক্যালের গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করতেন ব্যবসায়ীরা। আগুন লাগার সঙ্গেই সঙ্গেই কেমিক্যালের কারণে তা দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে মরদেহ হস্তান্তর শুরু করেছে বলেওখবর পাওয়া গেছে। অগ্নিদগ্ধে নিহত নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার কামাল হোসেনের (৫০) মরদেহের হস্তান্তরের মাধ্যমে শুরু হয় এ প্রকিয়া। মরদেহটি গ্রহণ করেন তার ছোট ভাই দেলওয়ার হোসেন। নিহত কামাল থাকতেন পুরান ঢাকায় চুড়িহাট্টা উর্দু রোডে।
এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মরদেহ শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসনের তথ্য কেন্দ্র।
জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ইমরুল হাসান জানান, যাদের মরদেহ শনাক্ত করা গেছে তাদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া হস্তান্তর করা হচ্ছে। তবে যাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না তাদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ টেস্টের পর হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার রাতে চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের একটি ভবনে আগুন লাগে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭৮ জন নিহতের খবর জানা গেছে। আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি নয় জনের মধ্যে আটজনের অবস্থাই গুরুতর।
ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিটের একযোগে টানা ১০ ঘণ্টার চেষ্টার পর দিবাগত রাত সোয়া ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। OURISLAM24