আহমাদ কাসির নামের ১৭ বছর বয়স্ক এক লেবাননি বীর যুবক ওই শাহাদত-পিয়াসী হামলা চালিয়েছিলেন। দখলদার ইসরাইলি সেনারা ১৯৮২ সালে লেবাননে আগ্রাসন চালিয়ে রাজধানী বৈরুত পর্যন্ত অগ্রসর হয় এবং গণহত্যা চালায়। হাজার হাজার বেসামরিক লেবাননি ইসরাইলি সেনাদের গণহত্যা অভিযানে শহীদ ও আহত হয়েছিলেন। ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেথ শাহাদত-পিয়াসী এই হামলার জন্য ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহকে দায়ি করেছিল।
শাহাদত-পিয়াসী এই হামলা ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ইসলামী গণ-প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছিল এবং প্রবল প্রতিরোধের মুখে ইসরাইলি সেনারা বৈরুত ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। মুজাহিদদের হামলায় বৈরুতে মার্কিন ও ফরাসি দখলদার সেনাদের সদর দপ্তর ধ্বংস হওয়ার পর এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছিল। ১৯৮৩ সালের ২৩ অক্টোবর আরো এক বীরত্বপূর্ণ শাহাদত-পিয়াসী হামলা চালায় প্রতিরোধ যোদ্ধারা। সন্ত্রাস-বিরোধী এই অভিযানে নিহত হয়েছিল ২৪১ মার্কিন ও ৫৮ ফরাসি দখলদার সেনা। মার্কিন সেনারা ছাড়াও বৈরুতে অনুপ্রবেশ করেছিল ফরাসি, ব্রিটিশ ও ইতালির দখলদার বাহিনী।
লেবাননের গৃহযুদ্ধে ইসরাইলের অনুচর খ্রিস্টান ফ্যালাঞ্জিস্ট গেরিলাদের সহায়তা দেয়ার জন্যই দেশটিতে ঢুকে পড়েছিল এইসব পশ্চিমা সেনা। দক্ষিণ লেবাননে ইহুদিবাদী ইসরাইলের দখলদারিত্ব স্থায়ী করাও ছিল পশ্চিমাদের এইসব সেনা হস্তক্ষেপের উদ্দেশ্য। কিন্তু মুজাহিদদের ওই বীরত্বপূর্ণ অভিযানের পর আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো লেবানন থেকে তাদের সেনা সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়।
সূত্র: পার্সটুডে