IQNA

ফিলিস্তিনের ইসলামী জিহাদ আন্দোলন:

ইসরাইলের প্রেসিডেন্টকে তুরস্কের স্বাগত/ জেরুজালেম ও ফিলিস্তিনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা

20:24 - March 10, 2022
সংবাদ: 3471547
ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট অ্যাইজ্যাক হারজগের তুরস্ক সফরের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসলামি জিহাদ। উভয় সংগঠনই বলেছে, তারা ইহুদিবাদীদের সঙ্গে সব ধরণের সম্পর্ক ও যোগাযোগের বিরোধী। তারা চায় বিশ্বের কেউ এই দখলদার শক্তির সঙ্গে কোনো ধরণের সম্পর্ক না রাখুক।
দুই দিনের সফরে গতকাল (বুধবার) তুরস্কে এসেছেন মুসলমানদের প্রধান শত্রু হিসেবে স্বীকৃত দখলদার ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হরজগ। এই সফরের প্রতিবাদ জানিয়ে হামাস একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
 
এতে বলা হয়েছে, 'দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে যেকোনো ধরণের সম্পর্ক ও যোগাযোগের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। আমাদের এই মৌলিক অবস্থান আবারও জোর দিয়ে তুলে ধরছি।' দখলদারিত্বের অবসান ও ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ে সহযোগিতা করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস।
 
এছাড়া, ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলন আলাদা বিবৃতিতে বলেছে, দখলদার ইসরাইলের প্রেসিডেন্টকে তুরস্কে স্বাগত জানানো হয়েছে যা নিন্দনীয়। ইসরাইলি প্রেসিডেন্টকে সেদেশে স্বাগত জানানোর ঘটনা ফিলিস্তিনিদের জিহাদের মোকাবেলায় শত্রুদের পক্ষে অবস্থান গ্রহণের শামিল।
 
গতকাল ইসরাইলি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, ইসরাইলি প্রেসিডেন্টের এই সফর ঐতিহাসিক এবং তুর্কি-ইসরাইল সম্পর্কের টার্নিং পয়েন্ট। তিনি আরও বলেন, তুরস্ক জ্বালানি খাতে ইসরাইলের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করতে তুরস্কের পররাষ্ট্র ও জ্বালানি মন্ত্রীরা শিগগিরই ইসরাইল সফর করবেন বলে জানান এরদোগান।
 
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, 'আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য হলো অভিন্ন স্বার্থ এবং পারস্পরিক সংবেদনশীলতার প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে আমাদের দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সংলাপ পুনরুজ্জীবিত করা।'
 
তুরস্কের এরদোগান সরকার এর আগে বহুবার ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষার কথা বলেছে। তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তুর্কি সরকার মুখে ইসরাইলের সমালোচনা করলেও বাস্তবে সব সময় দখলদারদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
 
ইহুদিবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ড দখলের পাশাপাশি সব ফিলিস্তিনিকে নিশ্চিহ্ন করতে অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে বিশ্বের সচেতন মুসলমানেরা দখলদারদের সঙ্গে কোনো মুসলিম দেশের সম্পর্ককে ভালো চোখে দেখে না। তুরস্কের ভেতরেও এই সফরের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। iqna
captcha