দখলদার শাসকের রক্তক্ষয়ী হামলার ফলে ফিলিস্তিনিবাসী যে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে তার বিরুদ্ধে গাজার জনগণ, নারী-পুরুষ, যুবক-বৃদ্ধ সকলের ঐশ্বরিক নিয়তির প্রতি বিশ্বাস এবং কিংবদন্তি প্রতিরোধ খুবই চিন্তার বিষয়।
গত রাতে, যখন ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর যোদ্ধারা গাজা উপত্যকার দক্ষিণে খান ইউনিস শহরের বাড়িগুলি লক্ষ্য করেছে, তখন একজন ফিলিস্তিনি মহিলা নিজেকে এবং তার পরিবারকে শান্ত করার জন্য এই বাড়ির একটি কক্ষে কুরআন পাঠ করছিলেন। ঠিক সেসময় সেই বাড়ীতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সেনাদের ক্ষেপনস্ত্র এই বাড়ীতে আঘাত হানে।
উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিতদের উদ্ধার করতে যায় এবং মৃতদেহগুলোকে বের করে আনার চেষ্ট করে, তখন তারা অবাক হয়ে দেখে যে, এই ফিলিস্তিনি ভদ্রমহিলা ধ্বংসস্তূপের নিচে তার হাতে হাতে পবিত্র কুরআনের একখণ্ড পাণ্ডুলিপি শক্ত করে ধরে আছেন।
ফিলিস্তিনি মহিলাকে, গাজা উপত্যকার দক্ষিণে খান ইউনিস শহরের কেন্দ্রস্থলে নাসের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, নার্সদের দ্বারা চিকিত্সা চলাকালীন সময় এবং চিকিৎসার পরেও পবিত্র কুরআন নিজের কাছ থেক আলাদা করেননি এবং তিনি বলেছেন যে. শত্রু দ্বারা তাদের উপর আঘাত করা দুর্যোগের বেদনা এবং ক্ষতসমূহ এই ঐশ্বরিক আয়াতগুলি দেখে এবং পাঠ করে নিরাময় করবে।