তিনি ছিলেন বিশ্বনবী (সা.)’র নাতি হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)’র সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। শাহাদতের সময় তার বয়স ছিল মাত্র ছয় মাস। কারবালায় তাঁকে দাফন করা হয়েছিল পিতার সঙ্গেই।
কারবালায় ইয়াজিদ বাহিনীর পানি-অবরোধের কারণে এই শিশু যখন তৃষ্ণায় ছটফট করছিলেন তখন ইমাম হুসাইন (আ.) এই শিশুকে কোলে নিয়ে তাঁর জন্য পানি চান। পাষাণ-হৃদয় ইয়াজিদ সেনাদের একজন তিন শাখা-বিশিষ্ট একটি তীর নিক্ষেপ করলে তা তাঁর নরম গলা ভেদ করে। এই পাষণ্ড ঘাতকের নাম ছিল হারমালা বিন কাহিল। বলা হয়ে থাকে ইমাম তাঁর কয়েক ফোটা রক্ত আকাশের দিকে নিক্ষেপ করলে তা কখনও মাটিতে ফিরে আসেনি। বীর মুখতার কয়েক বছর পর হারমালাকে হত্যা করেছিলেন দূর থেকে গলায় ছুরি নিক্ষেপ করে যা এই পাষণ্ডের গলা বিদ্ধ করেছিল।
প্রতি বছর মহররমের সময় বিশ্বের লাখ লাখ মুসলমান হযরত আলী আসগর (আ.)’র শাহাদত দিবস পালন করেন শোক মিছিলে শূন্য ও রক্তমাখা দোলনা দুলিয়ে। শোকার্ত মায়েরা তাদের শিশুকে কোলে নিয়ে এই শোক মিছিলে অংশ নেন। ফলে সৃষ্টি হয় হৃদয়-বিদারী শোকের পরিবেশ। এ ছাড়াও তারা এ সময় শিশু ও অন্যদের মধ্যে দুধ বিতরণ করে থাকেন।
হযরত আলী আসগর (আ.)'র মায়ের নাম ছিল রোবাব। তিনি ছিলেন কিন্দা গোত্রের প্রধানের মেয়ে। এই শিশুর হত্যাকাণ্ড ইয়াজিদ বাহিনীর বর্বরতা ও পৈশাচিকতার কিছু অংশকে তুলে ধরে।
বিশ্বের নানা অঞ্চলে বিনা অপরাধে আজও কচি শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। যেমন, ফিলিস্তিনে ইসরাইলি হানাদারদের হাতে, ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসী বাহিনীর হাতে এবং সিরিয়া, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানসহ বিশ্বের নানা অঞ্চলে মার্কিন ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্রসহ নানা মারণাস্ত্রের আঘাতে নিষ্পাপ শিশুরা প্রাণ হারাচ্ছে। পার্সটুডে