IQNA

মাহদাভিয়াত একটি সার্বজনীন দর্শন

23:36 - May 02, 2016
সংবাদ: 2600704
শহীদ ওস্তাদ আয়াতুল্লাহ মুর্তাজা মুতাহহারির চিন্তাধারায় মাহদাভিয়াতের বিষয়টি খুবই গুরুত্ব রাখে। তার দৃষ্টিতে মাহদাভিয়াত একটি সার্বজনীন দর্শন।

ফার্সি ১২ই বাহমান দার্শনিক, ফকীহ, চিন্তাবিদ, মুজাহিদ এবং মুফাসসির ওস্তাদ আয়াতুল্লাহ মুর্তাজা মুতাহহারির শাহাদাত দিবস। এই উপলক্ষে ইরানে এই দিনটিকে শিক্ষক দিবস হিসাবে অতি মর্যাদার সাথে পালন করা হয়।

শহীদ ওস্তাদ আয়াতুল্লাহ মুর্তাজা মুতাহহারি তার জীবনে ইসলামের খেদমতে উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি ইসলামের সকল বিষয়ের উপর দখল রাখতেন। তিনি ছিলেন ঐতিহাসিক এবং পবিত্র কুরআনের বড় মুফাসসির। ইমাম খোমিনী(রহ.) বলেছেন: শহীদ মুতাহহারির শাহাদাতে ইসলামের যে ক্ষতি হয়েছে তা আর কখনোই পূর্ণ হবে না।

শহীদ মুতাহহারি তার বক্তব্য এবং সুন্দর লেখার মাধ্যমে ইসলামের বহু খেদমত করেছেন।

ইমাম মাহদী(আ.) সম্পর্কে ইসলামের প্রথম যুগ থেকেই আলোচনা হয়ে আসছে। যেমনটি পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে: পৃথিবীর অধিকারী হবে আল্লাহর সালেহ তথা সৎ বান্দাগন। তখন অনেকেই রাসূল(সা.)-এর কাছে প্রশ্ন করত, কবে সেই সুদিন আসবে।

শহীদ মুতাহহারির দৃষ্টিতে ইমাম মাহদীর(আ.) আবির্ভাবের চিন্তা মানুষকে ভবিষ্যতের প্রতি আগ্রহী ও উৎসাহী করে। কেননা পৃথিবীর শেষ পরিণতি ভাল হবে এবং মানুষ এই দুনিয়াতেই ন্যায়পরায়ণতা ও শান্তি দেখতে পাবে।

রাসেল এবং আইনস্টাইনের মতে মানুষ নিজের হাতেই নিজের কবর রচনা করেছে এবং মানুষের আবিষ্কৃত এই বিজ্ঞানই মানুষকে ধ্বংস করবে।

কিন্তু মুসলমানরা বিশেষ করে শিয়ারা সত্যিই সৌভাগ্যবান। কেননা তারা বিশ্বাস করে যে শেষ জামানায় ইমাম মাহদীর(আ.) আবির্ভাব ঘটবে এবং তিনি সকল অন্যায়-অত্যাচারের অবসান ঘটাবেন। এবং পৃথিবীকে ন্যায়নীতিকে পরিপূর্ণ করবেন। আর ইমাম মাহদীর সেই রাষ্ট্র আল্লাহর জন্য এবং কোরআনের নির্দেশ অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

রাসূল(সা.) বলেছেন: المهدي‌ يُبعثُ علي‌ اختلافٍ من‌ الناس‌ والزلازل؛

মানুষের মধ্যে যখন বিরোধ তুঙ্গে উঠবে তখন ইমাম মাহদীর আবির্ভাব ঘটবে। যখন সারা বিশ্ব মানুষের হাতে অন্যায়ে ভরে যাবে তখন ইমাম মাহদী আসবেন। «فيملا الارض‌ قسطاً و عدلاً كما ملئت‌ ظلماً و جوراً

পৃথিবী অন্যায়ে পরিপূর্ণ হওয়ার পর ইমাম মাহদী(আ.) তাকে পুনরায় ন্যায়নীতিতে পরিপূর্ণ করবেন।
captcha