IQNA

কোন শর্তে দোয়া আহদ আমাদেরকে ইমাম মাহদীর সৈন্য হতে সাহায্য করবে?

2:54 - November 09, 2016
সংবাদ: 2601911
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দোয়া আহদ হচ্ছে ইমাম মাহদীর(আ.) প্রতি ভক্তি প্রদর্শনের একটি বড় মাধ্যম। ইমাম মাহদীর(আ.) প্রতিরক্ষাকারী প্রতিদিন দোয়া আহদ পাঠ করার মাধ্যমে প্রমাণ করে যে, আমরা আমাদের ইমামের(আ.) প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এবং ইমামও(আ.)তাদের প্রতি অনুগ্রহ করেন।
কোন শর্তে দোয়া আহদ আমাদেরকে ইমাম মাহদীর সৈন্য হতে সাহায্য করবে?

শাবিস্তানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা: কেউ যদি তার ইমামের প্রতি ভক্তি প্রদর্শন করতে চায় তাহলে তাকে কিছু কাজের মাধ্যমে এই ভক্তি প্রমাণ করতে হবে। আর এই ভক্তি প্রদর্শনের একটি বড় প্রমাণ হচ্ছে প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর দোয়া আহদ পাঠ করা।

ইসলামে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, কেউ যদি ইমামকে রাজি করতে চায় তাহলে তার জন্য দোয়া করতে হবে এবং তার ভাল চাইতে হবে। আর দোয়া আহদ হচ্ছে ইমাম মাহদীর(আ.) প্রতি মুসলমানদের ভক্তি প্রদর্শনের নমুনা।

একজন বড় আলেম বলতেন প্রতিদিন সূরা ইয়াসিন পড়ে ইমাম মাহদীর(আ.) নামে হাদিয়া করবে। আরেকজন বলেন, আমি প্রতিদিন ৬ রাকাত নামাজ পড়ে ইমাম মাহদীর(আ.) নামে হাদিয়া করি এবং যে দিন থেকে এই আমল শুরু করেছি তারপর থেকে আমার জীবনের বরকত অনেক বেড়ে গেছে।

দোয়া আহদের গুরুত্ব অনেক বেশী। ইমাম খোমিনীও(রহ.) প্রতিদিন এই দোয়াটি পাঠ করতেন। সুতরাং খালেস নিয়তে ইমাম মাহদীর সাহায্য করার জন্য যে দোয়া আহদ পাঠ করা হবে তা আমাদেরকে ইমাম মাহদীর সৈন্য হতে সাহায্য করবে।

ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন: যে ব্যক্তি ৪০ দিন ফজরের নামাজের পর এই দোয়াটি(দোয়া আহদ) পাঠ করবে সে ইমাম মাহদীর(আ.) সাথী হবে। আর সে যদি ইমাম মাহদীর(আ.) আবির্ভাবের পূর্বে মারা যায় ইমাম তাকে কবর থেকে উঠিয়ে তার সাথী বানাবেন।
captcha