এছাড়া ইসরাইলের সঙ্গে আরব আমিরাতের স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ককে 'ঐতিহাসিক পদক্ষেপ' বলে উল্লেখ করেন তিনি। ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়া নিয়ে বিশেষ সাক্ষাতকারে তিনি আরো বলেন, ''আমার মনে হয়, অনেক দেশই এক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে আগ্রহী। আমি মনে করি, এখন সৌদি আরব ও ইসরাইলের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং তারা এক সঙ্গে অনেক কিছু করার সামর্থ্য রাখে।''
কুশনার বলেন, ''সৌদি আরব এখন আধুনিকায়নের নেতৃত্ব দিচ্ছে। কিন্তু রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন সম্ভব নয়।'' আমিরাতের চুক্তি বিষয়ে সৌদির নীরবতায় কুশনার বলেন, ''আমরা ২৬ বছর আগে প্রথম শান্তি চুক্তি করেছিলাম। আমরা এ বাহনে আরো যাত্রীর প্রত্যাশা করি।''
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপন করতে ইসরাইলের সঙ্গে আমিরাতের ''ঐতিহাসিক'' সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উপসাগরীয় দেশের মধ্যে আরব আমিরাতই প্রথম ইসরাইলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করল। ১৯৮৯ সালে মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরাইলের সঙ্গে মিশর চু'ক্তি করেছিল। অতঃপর ১৯৯৪ সালে জর্দান শান্তি চুক্তি করেছিল।
আমিরাতের এ চু'ক্তিকে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ আল আকসা মসজিদ ও ফিলিস্তিনের মানুষের সঙ্গে বিশ্বা'সঘা'তকতা বলে তা প্র'ত্যা'খ্যান করে। ইরান ও তুরস্ক এ চু'ক্তির বি'রু'দ্ধে তী'ব্র নিন্দা জানায়। অপরদিকে মিশর, বাহরাইন ও ওমান আমিরাতের চু'ক্তিতে অভিবাদন জানায়।
সূত্র: সিএনবিএস ও আল জাজিরা নেট